ধারণাগত আয় (Deemed Income): ধারা-১৯ এর একটি পর্যালোচনা [পর্ব-২]
আসাদ হাফিজ
নিম্নে উপ-ধারা অনুযায়ী ধারা-১৯ পর্যালোচনা করা হলো:
(1) | Where any sum is found credited in the books of an Assessee maintained for any income year and the Assessee offers no explanation about the nature and source thereof, or the explanation offered is not, in the opinion of the Deputy Commissioner of Taxes, satisfactory, the sum so credited shall be deemed to be his income for that income year classifiable under the head “Income from other sources”. |
করদাতা যদি কোন দায় প্রদর্শন করেন যা যাচাইযোগ্য নয়, বা যাচাই করে যথাযথ পাওয়া না যায়, তাহলে তা ১৯(১) ধারা অনুযায়ী ‘অন্যান্য উৎসের আয়’ হিসেবে গণ্য হবে। | |
ধরা যাক, একজন করদাতা ২০১৯-২০ করবর্ষে ৪ লক্ষ টাকা দায় প্রদর্শন করেছেন যার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ দাখিলকরেননি। কর নির্ধারণকালে উক্ত ঋণের স্বপক্ষে করদাতা কোন প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি, অথবা যেসব প্রমাণ দাখিলকরেছেন তা যথাযথ নয়, যেমন-কার নিকট হতে উক্ত ঋণ গ্রহণ করেছেন, ঋণদাতার ঋণ প্রদানের সামর্থ আছে কিনা, প্রভৃতি। এক্ষেত্রে উক্ত দায়কে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১৯(১)/৩৩ডি ধারায় অন্যান্য উৎসে আয় হিসেবে গণ্যকরতে হবে। | |
সার্কেল কর্মকর্তাগণ এ জাতীয় দায়কে ধারণাগত আয় হিসেবে গণ্য করার জন্য নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারেন: | |
“করদাতা আলোচ্য বর্ষে জামানতবিহীন দায় প্রদর্শন করেছেন ৳ ৪,০০,০০০ যার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ দাখিল করেননি। এবিষয়ে করদাতার নিকট লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে (করদাতা কোন ব্যাখ্যা দাখিল করেননি) / (করদাতা ব্যাখ্যাদাখিল করেন তা যাচাইযোগ্য নয়।) (যদি তদন্ত করানো হয় তাহলে এর সাথে যুক্ত করা যেতে পারে – কর পরিদর্শকেরতদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, করদাতা যাদের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করেছেন দাবি করেছেন সে সকলঋণদাতার কোন অস্তিত্ব খুজেঁ পাওয়া যায়নি।) সামগ্রিক বিবেচনায় প্রদর্শিত ঋণ যাচাইযোগ্য নয় বিধায় উহা যথাযথ নয়প্রতীয়মান। এমতাব্স্থায়, প্রদর্শিত ঋণ অননুমোদন করা হলো এবং আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১৯(১)/৩৩ডি ধারায়অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে গণ্যকরত: উহা মোট আয়ের সাথে যোগ করা হলো…………………………….”। | |
সম্মানিত করদাতাগণকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন এ জাতীয় দায় প্রদর্শন করা না হয়। অনেক সময় দেখাযায়, সম্পদের পরিবৃদ্ধি ও ব্যয় প্রদর্শিত আয় দ্বারা আবৃত হয় না, তখন উৎসের যতটুকু ঘাটতি থাকে সে পরিমাণকাল্পনিক দায় প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। অনেক সময় অন্যান্য প্রাপ্তিতেও এ জাতীয় কাল্পনিক তহবিল প্রদর্শন করা হয়েথাকে। আয়কর নথি নিরীক্ষার জন্য নির্বাচনের এটি একটি অন্যতম কারণ। এ জাতীয় কাল্পনিক দায় বা তহবিল প্রদর্শন নাকরে করদাতাগণ তাদের আয়কর রিটার্ন নিরীক্ষা কার্যক্রম বহির্ভূত রাখতে পারেন। |
No Comments yet!