বিলম্ব সুদ সমাচার (ধারা–৭৩এ)
৩০১১২০২০
১. আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২(৬২এ) ধারায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে ৭৪ ধারায় প্রদেয় করের (সারচার্জসহ) উপর ৭৩এ ধারায় বিলম্ব সুদ প্রদেয়।
২. ৭৫(৬) ধারা মোতাবেক সময় নিলেও ৭৪ ধারায় প্রদেয় করের উপর বিলম্ব সুদ প্রদেয়।
৩. তবে যদি কোন করদাতার কর প্রদেয় না হয় তার বিলম্ব সুদ প্রদেয় হবে না।
৪. ৩০ নবেমবরের মধ্যে সকল কর পরিশোধ করলেও বিলম্ব সুদ প্রদেয় হবে না।
৫. বিলম্ব সুদ হিসাবের পদ্ধতি:
ধারা যাক, একজন পুরুষ করদাতার ২০২০-২১ করবর্ষে
মোট আয় ৳ ১০,০০,০০০
প্রদেয় কর ৳ ৮০,০০০
বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত ৳ ১৫,০০০
নিট প্রদেয় কর ৳ ৬৫,০০০
পরিশোধিত কর:
(ক) অগ্রিম কর (গাড়ি ফিটনেসের সময়) ৳ ১৫,০০০
(খ) বেতন হতে উৎসে কর্তন ৳ ৩৬,০০০
৩০ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে পরিশোধিত মোট কর ৳ ৫১,০০০
রিটার্নের সাথে প্রদেয় কর (৭৪ ধারা) ৳ ১৪,০০০
৩০ নবেমবরের মধ্যে এ কর পরিশোধ করলে বিলম্ব সুদ প্রদেয় হবে না। রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় নিয়েও যদি ৩০ নবেমরের পরে এ কর পরিশোধ করা হয় তাহলে এ করের উপর মাসিক ২% হারে বিলম্ব সুদ প্রদান করতে হবে।
ধরা যাক, করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য ৭৫(৬) ধারা মোতাবেক ২ মাস সময় নিয়েছেন। তিনি ১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে রিটার্ন দাখিল করলেন এবং রিটার্নে সাথে প্রদেয় ৳ ১৪,০০০ টাকা পরিশোধ করেছেন। তাহলে তাকে নিম্নরূপ বিলম্ব সুদ প্রদান করতে হবে:
বিলম্বিত দিনের সংখ্যা: ১ ডিসেমবর হতে ৩১ ডিসেমবর = ৩১ দিন।
বিলম্ব সুদ: (১৪,০০০×২×৩১ দিন)÷(৩০*১০০) = ৳ ২৮৯
করদাতাকে ৳ ১৪,০০০ করের সাথে ৳ ২৮৯ বিলম্ব সুদ, অর্থাৎ মোট ৳ ১৪,২৮৯ রিটার্ন দাখিলের সময় পরিশোধ করতে হবে।
বিলম্ব সুদ (৭৩এ ধারা) ও জরিমানা (১২৪ ধারা) দুটো আলাদা জিনিস। একটির সাথে অপরটিকে গুলিয়ে ফেলবেন না।
No Comments yet!