Skip to main content

অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর আইনে আনীত পরিবর্তনসমূহ

Spread the love

অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে আনীত পরিবর্তনসমূহ
 আসাদ হাফিজ
২০২১-২২ করবর্ষের জন্য প্রযোজ্য কর হার

১. ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ), অংশীদারী ফার্ম এর আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার: [পূর্ববর্তী বছরের অনুরূপ]

ক্রমিক মোট আয়   কর হার কর
১.১ সাধারণ করদাতার প্রথম ৩,০০,০০০ ০%
১.২ মহিলা করদাতার প্রথম ৩,৫০,০০০ ০%
১.৩ ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব পুরুষ করদাতার প্রথম ৩,৫০,০০০ ০%
১.৪ তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা প্রথম ৩,৫০,০০০ ০%
১.৫ প্রতিবন্ধী করদাতার প্রথম ৪,৫০,০০০ ০%
১.৬ গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার প্রথম ৪,৭৫,০০০ ০%
১.৭ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা/মাতা/আইনানুগ অভিভাবক – যেকোন একজনের প্রাপ্যকরমুক্ত সীমার অতিরিক্ত
৳ ৫০,০০০
০%
১.৮ শুধুমাত্র কৃষি হতে আয় থাকলে প্রাপ্য করমুক্ত সীমার অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা ০%
উপরোক্ত সকল করদাতার করমুক্ত সীমা বাদ দেয়ার পর
মোট আয়ের পরবর্তী ১,০০,০০০ ৫% ৫,০০০
মোট আয়ের পরবর্তী ৩,০০,০০০ ১০% ৩০,০০০
মোট আয়ের পরবর্তী ৪,০০,০০০ ১৫% ৬০,০০০
মোট আয়ের পরবর্তী ৫,০০,০০০ ২০% ১,০০,০০০
মোট আয়ের অবশিষ্ট অংক ২৫%

২. বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত: পূর্ববর্তী বছরের অনুরূপ [শুধুমাত্র ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য প্রযোজ্য]

প্রাপ্য অংক: নিম্নের তিনটির মধ্যে যেটি কম-
(ক) প্রকৃত বিনিয়োগ,
(খ) মোট আয়ের [সাধারণ করহার প্রযোজ্য এমন] ২৫% এবং
(গ) ১ কোটি টাকা।

অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৪ ধারা সংশোধন করে রেয়াতের সবোর্চ্চ সীমা ১.৫ কোটি হতে কমিয়ে ১ কোটি করা হয়েছে।

সাধারণ করহার বলতে বুঝাবে, যে আয়ের উপর ০%, ৫%, ১০%, ১৫%, ২০% ও ২৫% – এ ক্রমে কর আরোপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন করদাতার বেতন আয় রয়েছে ৳ ৬,০০,০০০; গৃহসম্পত্তি আয় ৳ ৩,০০,০০০ এবং ব্যাংক সুদ রয়েছে ৳ ২,০০,০০০। এ সকল আয়ের উপর উপরোক্ত ক্রমবর্দ্ধমান হারে কর আরোপিত হবে। এ ধরণের আয়েকই সাধারণ করহার প্রযোজ্য এমন আয় বলা হয়ে থাকে। রেয়াতের জন্য মোট আয়ের ২৫% গণনা করার সময় শুধুমাত্র এ জাতীয় আয়কে বিবেচনা করতে হবে।

পক্ষান্তরে, করমুক্ত আয় (যেমন- রেমিটেন্স, সফটওয়ার ব্যবসা হতে আয়, প্রভৃতি), হ্রাসকৃত হারে আয় (যেমন- সঞ্চয়পত্রের সুদ, মৎস চাষ হতে আয়, হাঁস-মুরগীর খামার হতে আয়, প্রভৃতি), ৮২সি ধারায় ন্যূনতম করদায়যুক্ত আয় (যেমন- ঠিকাদারী আয়, রফতানি হতে আয়, জমি বিক্রয় হতে লাভ, প্রভৃতি) বাদ দিতে হবে।

উদাহরণ-
জনাব আনোয়ার হোসেনের নিম্নরূপ আয় রয়েছে:
বেতন আয় ৳ ৬,০০,০০০; গৃহসম্পত্তি আয় ৳ ৩,০০,০০০; ব্যাংক সুদ ৳ ২,০০,০০০; সঞ্চয়পত্রের সুদ ৳ ১,০০,০০০ এবং মৎস চাষ হতে আয় ৳ ১০,০০,০০০। মোট আয় – ৳ ২২,০০,০০০।

উপরোক্ত আয়ের মধ্যে নিয়মিত করহার প্রযোজ্য এমন আয় – বেতন আয় ৳ ৬,০০,০০০; গৃহসম্পত্তি আয় ৳ ৩,০০,০০০; ব্যাংক সুদ ৳ ২,০০,০০০; মোট ৳ ১১,০০,০০০। এবং হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় – সঞ্চয়পত্রের সুদ ৳ ১,০০,০০০ এবং মৎস চাষ হতে আয় ৳ ১০,০০,০০০; মোট ৳ ১১,০০,০০০।

বিবেচ্য বর্ষে রেয়াতের জন্য বিবেচিত বিনিয়োগ:
ভবিষ্য তহবিল – ৳ ১,২০,০০০; ডিপিএস – ৳ ৬০,০০০; সঞ্চয়পত্র ক্রয় – ৳ ২,০০,০০০; মোট বিনিয়োগ ৳ ১,৬০,০০০।

প্রকৃত বিনিয়োগ – ৩,৮০,০০০
মোট আয়ের ২৫% [১১,০০,০০০ টাকার ২৫%] – ২,৭৫,০০০

সুতরাং রেয়াতের জন্য প্রাপ্য অংক – ২,৭৫,০০০

রেয়াতের হার:
(ক) মোট আয় ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত – প্রাপ্য অংকের ১৫%;
(খ) মোট আয় ১৫ লক্ষ টাকার উর্দ্ধে – প্রাপ্য অংকের ১০%।

রেয়াতের হার নিরূপণের ক্ষেত্রে মোট আয় বলতে সাধারণ করহার প্রয়োজ্য এমন আয়, হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় এবং করমুক্ত আয়, সকল আয়ের যোগফলকে মোট আয় বুঝাবে।

উপরোক্ত করদাতার মোট আয় ৳ ২২,০০,০০০। এক্ষেত্রে করদাতার রেয়াতের হার হবে প্রাপ্য অংকের ১০%। সুতরাং রেয়াতের পরিমাণ – ২,৭৫,০০০ টাকার ১০% = ৳ ২৭,৫০০।

প্রদেয় কর হতে রেয়াত বাদ দিয়ে নিট প্রদেয় কর যদি শূন্য বা ঋণাত্মক হয়, তবুও করদাতাকে নিম্নরূপ ন্যূনতম কর প্রদান করতে হবে:

ক্রমিক করদাতার এলাকা ন্যূনতম কর

ক্রমিক

করদাতার এলাকা

ন্যূনতম কর

(ক)

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

৳ ৫,০০০

(খ)

অন্যান্য সিটি করপোরেশন

৳ ৪,০০০

(গ)

অন্যান্য এলাকা

৳ ৩,০০০

৩. সবচেয়ে কম উন্নত বা স্বল্পোন্নত এলাকায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দ্রব্যাদি উৎপাদনে নিয়োজিত করদাতাগণ নিম্নরূপ কর রেয়াত পাবেন:

ক্রমিক

বিবরণ

রেয়াতের পরিমাণ

(ক)

উৎপাদন পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৫% এর অধিক, তবে ২৫% এর অধিকনয়

উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় করের ৫%

(খ)

উৎপাদন পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২৫% এর অধিক

উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় করের ১০%

৪. সারচার্জ: শুধুমাত্র ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য
সারচার্জের ক্ষেত্রে অর্থ আইনে ২টি পরিবর্তন এসেছে। এক- ন্যূনতম সারচার্জ বাতিল করা হয়েছে। দুই- সারচার্জের স্তর কমিয়ে ৫টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখানে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, সারচার্জ আরোপিত হয় প্রদেয় করের উপর। একজন করদাতার সম্পদের পরিমাণ যদি সারচার্জ আরোপের উপযুক্ত হয়, কিন্তু তার করযোগ্য কোন আয় নেই, অথাৎ কোন কর প্রদেয় হয়নি, তাহলে তার সম্পদের পরিমাণ যাই হোক না কেন, সারচার্জ হবে না।

ক্রমিক

নিট সম্পদের পরিমাণ

সারচার্জের হার

(প্রদেয় করের)

৩ কোটি টাকা পর্যন্ত

০%

  কিন্তু নিজ নামে একের অধিকর মোটর গাড়ি থাকলে

১০%

  বা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮,০০০ বর্গফুটের অধিক গৃহসম্পত্তিথাকলে

১০%

৩ কোটি টাকার অধিক হতে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত

১০%

১০ কোটি টাকার অধিক হতে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত

২০%

২০ কোটি টাকার অধিক হতে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত

৩০%

৫০ কোটি টাকার অধিক

৩৫%

এছাড়া, তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী করদাতার উক্ত ব্যবসার আয়ের উপর নিয়মিত করের অতিরিক্ত ২.৫% সারচার্জ আরোপিত হবে।

৫. কোম্পানি ও ব্যক্তি-সংঘ ব্যতীত নিম্নোক্ত অন্যান্য শ্রেণির করদাতাদের মোট আয়ের উপর নিম্নরূপ হারে আয়কর আরোপিত হবে:

ক্রমিক

করদাতার শ্রেণি

কর হার

কোম্পানি ও ব্যক্তি-সংঘ ব্যতীত অনিবাসী সকল বিদেশি করদাতা

৩০%

তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী করদাতার (কোম্পানি ব্যতীত) উক্ত আয়ের আয়ের উপর

৪৫%

কোম্পানি ব্যতীত ব্যাক্তি-সংঘ, আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তি ও অন্যান্য করারোপযোগ্য সত্তার ক্ষেত্রে

৩০%

সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ অনুযায়ী নিবন্ধিত সমবায় সমিতির আয়ের উপর

১৫%

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইনজিনিয়ারিং কলেজ ও কেবলমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের আয়ের উপর

১৫%

৬. কোম্পানি কর হার [মূলধনী আয় ব্যতীত]:

ক্রমিক

করদাতার ধরণ কর হার

স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি

২২.৫%

স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি ও আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা-২(২০) এ যাদের কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

[তবে এরূপ কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে তাহলেসংশ্লিষ্ট বর্ষে প্রদেয় আয়করের উপর ১০% রেয়াত লাভ করবে।]

৩০%

এক ব্যক্তির কোম্পানি

২৫%

ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান

[স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত]

৩৭.৫%

ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান

[স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত না হলে]

৪০%

মার্চেন্ট ব্যাংক

৩৭.৫%

তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি

৪৫%

তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত করের অতিরিক্ত তামাকজাত পণ্যের আয়ের উপর ২.৫% হারে সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে।

মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি

[তবে এরূপ কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে তাহলেসংশ্লিষ্ট বর্ষে প্রদেয় আয়করের উপর ১০% রেয়াত লাভ করবে।]

৪৫%

মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি

[যদি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% শেয়ার, যার মাধ্যে প্লেসমেন্ট এর মাধ্যমে ৫% শেয়ারের অধিকনয়, হস্তান্তর করে]

[তবে এরূপ কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে তাহলেসংশ্লিষ্ট বর্ষে প্রদেয় আয়করের উপর ১০% রেয়াত লাভ করবে।]

৪০%

১০

ঘোষিত এবং পরিশোধিত লভ্যাংশের উপর

২০%

৭. অপ্রদর্শিত আয়/বিনিয়োগ ঘোষণা সংক্রান্ত
========================
পূর্ববর্তী বছরে অপ্রদর্শিত বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়েছিল, আলোচ্য বর্ষে তা কিছুটা সংশোধনপূর্বক করহার বৃদ্ধি করে বহাল রাখা হয়েছে। এ দুটি ধারা মোতাবেক অপ্রদর্শিত নগদ তহবিলকে নির্ধারিত হারে কর প্রদান করে ঘোষণা করা যাবে। ঘোষিত নগদ তহবিলের বিপরীতে কোন সুনির্দিষ্ট সম্পদ/বিনিয়োগ প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই।

৮. ১৯এএএএ: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ১ জুলাই ২০২১ হতে ৩০ জুন ২০২২ এর মধ্যে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলে এবং বিনিয়োগকৃত অংকের উপর বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে ২৫% কর ও ৫% জরিমানা পরিশোধ করলে বাংলাদেশের কোন কর্তৃপক্ষ উক্ত বিনিয়োগের উৎস নিয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

বিনিয়োগকারী নির্ধারিত ফরমে প্রযোজ্য কর ও জরিমানার পে-অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনারের নিকট ঘোষণা করবেন।

তবে শেয়ার বাজরে বিনিয়োগের দিন থেকে পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে উক্ত বিনিয়োগকৃত অর্থ শেয়ার বাজার হতে প্রত্যাহার করা যাবে না। যদি প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে যে পরিমাণ প্রত্যাহার করা হবে তার উপর ১০% হারে জরিমানা প্রদেয় হবে। তবে করদাতা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন।

এ জাতীয় বিনিয়োগ ঘোষণার পূর্বেই যদি সংশ্লিষ্ট করদাতার বিরুদ্ধে আয়কর আইনে বা অন্য যে কোন আইনে কোন প্রসিডিং চলমান থাকে, তবে এ ধারায় তার বিনিয়োগ ঘোষণা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এ ধারায় ঘোষিত বিনিয়োগ পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ করবর্ষে সম্পদ বিবরণীর সংশ্লিষ্ট কলামে প্রদর্শন করতে হবে এবং বিনিয়োগকৃত অংক অর্জিত সম্পদের উৎস কলামে প্রদর্শন করতে হবে।

৯. ১৯এএএএএ: অপ্রদর্শিত সম্পদ ও নগদ সমতুল্য

অপ্রদর্শিত জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি, নগদ, ব্যাংক জমা, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও যে কোন ধরনের আর্থিক স্কীমে বিনিয়োগ যা প্রদর্শন করা হয়নি, এ জাতীয় অপ্রদর্শিত বিনিয়োগ নির্ধারিত হারে কর ও ৫% জরিমানা প্রদান করে প্রদর্শন করা যাবে। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগের উৎস নিয়ে বাংলাদেশের কোন কর্তৃপক্ষ কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। এ ধারায় ঘোষিত সম্পদ ১ জুলাই ২০২১ হতে ৩০ জুন ২০২২ এর মধ্যে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে।

এ জাতীয় বিনিয়োগ ঘোষণার পূর্বেই যদি সংশ্লিষ্ট করদাতার বিরুদ্ধে আয়কর আইনে বা অন্য যে কোন আইনে কোন কার্যক্রম চলমান থাকে, তবে এ ধারায় তার বিনিয়োগ ঘোষণা গ্রহণযোগ্য হবে না।

ক্রম.

সম্পত্তির বিবরণ (জমি)

করহার (৳)

(প্রতি বর্গমিটারে)

১.

জমি – গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল, দিলকুশা

২০,০০০

২.

জমি – ঢাকার ধানমণ্ডি, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া, উত্তরা, পূর্বাচল, বসুন্ধরা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী, কাওরানবাজার, বিজয়নগর, ওয়ারি, সেগুনবাগিচা ও নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী,আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ।

১৫,৫০০

৩.

জমি – ১ ও ২ নং ক্রমিক বাদে যে কোন সিটি করপোরেশন

৫,০০০

৪.

জমি – পৌরসভা বা জেলা সদর

১,৫০০

৫.

জমি – অন্য যে কোন স্থান

৫০০

সম্পত্তির বিবরণ (বাণিজ্যিক বা আবাসিক ফ্ল্যাট/বাড়ি)

করহার (৳)

(প্রতি বর্গমিটারে)

১.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল, দিলকুশা [২০০ বমি এর কম]

৪,০০০

২.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল, দিলকুশা [২০০ বমি এর বেশি]

৬,০০০

৩.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ঢাকার ধানমণ্ডি, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া, উত্তরা, বসুন্ধরা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী, কাওরানবাজার, বনশ্রী, বিজয়নগর, ওয়ারি, সেগুনবাগিচা, নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী, আগ্রাবাদ, নাসিরাবাদ [২০০ বমি এর কম]

৩,০০০

৪.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ঢাকার ধানমণ্ডি, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া, উত্তরা, বসুন্ধরা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী, কাওরানবাজার, বনশ্রী, বিজয়নগর, ওয়ারি, সেগুনবাগিচা, নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী, আগ্রাবাদ, নাসিরাবাদ [২০০ বমি এর বেশি]

৩,৫০০

৫.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১, ২, ৩ ও ৪ নং ক্রমিক বাদে যে কোন সিটি করপোরেশন [১২০ বমি এর কম]

৭০০

৬.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১, ২, ৩ ও ৪ নং ক্রমিক বাদে যে কোন সিটি করপোরেশন [১২০-২০০ বমি]

৮৫০

৭.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১, ২, ৩ ও ৪ নং ক্রমিক বাদে যে কোন সিটি করপোরেশন [২০০ বমি এর বেশি]

১,৩০০

৮.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – জেলা সদরের পৌরসভা [১২০ বমি এর কম]

৩০০

৯.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – জেলা সদরের পৌরসভা [১২০-২০০ বমি]

৪৫০

১০.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – জেলা সদরের পৌরসভা [২০০ বমি এর বেশি]

৬০০

১১.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১-১০ নং ক্রমিক বাদে যে কোন স্থানে [১২০ বমি এর কম]

২০০

১২.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১-১০ নং ক্রমিক বাদে যে কোন স্থানে [১২০-২০০ বমি]

৩০০

১৩.

ফ্ল্যাট/বাড়ি – ১-১০ নং ক্রমিক বাদে যে কোন স্থানে [২০০ বমি এর বেশি]

৫০০

  নগদ ও নগদ সমতুল্য

করহার

১.

নগদ, ব্যাংক জমা, আর্থিক স্কীম বা ইন্সট্রুমেন্ট, যে কোন ধরণের জমা, সঞ্চয়ী জমা, সঞ্চয়পত্র

২৫%

১০. ১৯এএএএএএ – নতুন শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১৯এএএএএএ ধারা সংযোজনের মাধ্যমে নতুন শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুধিধা প্রদান করা হয়েছে। এ ধারার অধীন ব্যক্তি করদাতা যদি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত অংকের উপর ১০% কর পরিশোধ করলে বাংলাদেশের কোন কর্তৃপক্ষ উক্ত বিনিয়োগের উৎস নিয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। ১ জুলাই ২০২১ হতে ৩০ জুন ২০২২ এর মধ্যে এ জাতীয় বিনিয়োগ করতে হবে। পে-অর্ডার বা স্বয়ংক্রিয় চালানের মাধ্যমে এ কর পরিশোধ করতে হবে।

১১. বেতন বা সম্মানী নগদে পরিশোধের সীমা বৃদ্ধি [ধারা ৩০(আই)]
অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৩০(আই) ধারা সংশোধনের মাধ্যমে বেতন বা সম্মানী নগদে পরিশোধের সীমা ৳ ১৫,০০০ হতে বৃদ্ধি করে ৳ ২০,০০০ করা হয়েছে।আলোচ্য বর্ষে বেতন বা সম্মানী খাতে ২০,০০০ টাকার উর্দ্ধে পরিশোধের ক্ষেত্রে বেতন/সম্মানী প্রদানকারী বেতন/সম্মানী গ্রহণকারীর ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করবেন। অন্যথায় ব্যবসায়িক খরচ হিসেবে উহা অননুমোদিত হবে।

১২. কাঁচামালের ক্রময়মূল্য ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের বিধান [ধারা ৩০(আইআই) সংযোজন]
অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এ নতুন ক্লজ ৩০(আইাআই) সংযোজনের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার উর্দ্ধে কাঁচামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের বিধান করা হয়েছে। পূর্বে কাঁচামালের মূল্য বাবদ যেকোন অংক নগদে পরিশোধ করা যেত। বর্তমান বিধান অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাঁচামালের মূল্য নগদে পরিশোধ করা যাবে। ৫ লক্ষ টাকার অধিক হলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ না হলে এ ক্লজ মোতাবেক উক্ত খরচ খরচ হিসেবে অনুমোদনযোগ্য হবে না।

এখন প্রশ্ন হলো, ৫ লক্ষ টাকা কি সাকুল্যে? নাকি প্রত্যেক বিল/ভাউচারের বিপরীতে ৫ লক্ষ টাকা নগদে পরিশোধ করা যাবে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে পরিপত্র হতে। তবে আমার মতামত হলো, কাঁচামালের মূল্য বাবদ সাকুল্যে ৫ লক্ষ টাকা নগদে পরিশোধ করা যাবে।

১৩. ৫২ ধারা সংশোধন
৫২ ধারার উপধারা (১) এর প্রভাইসোতে ক্লজ (বিবি) সংযোজনের মাধ্যমে ঠিকাদারী বিল বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোন আর্থিক চ্যানেলে গৃহীত না হলে উৎসে কর কর্তনের হার ৫০% বেশি হবে।

৫২ ধারায় কর কর্তনের হার সংক্রান্ত বিধি-১৬ তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধি-১৬ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উৎসে কর কর্তনের স্তর কমিয়ে ৩টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ৫২ ধারায় পরিবর্তিত কর কর্তনের হার নিম্নরূপ:

ক্রমিক

ভিত্তিমূল্য

কর্তনের হার

৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

৩%

৫০ লক্ষ ১ টাকা – ২ কোটি টাকা

৫%

২ কোটি টাকার উর্দ্ধে

৭%

  নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিল গ্রহণের ক্ষেত্রে

মোট বিলের উপর

তৈল বিপণনকারী কোম্পানি কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে (মোট মূল্যের উপর)

০.৬০%

ডিলার বা এজেন্ট কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে (পট্রোল পাম্প ব্যতীত)

১%

অয়েল রিফাইনারী কর্তৃক তৈল সরবরাহের ক্ষেত্রে

৩%

গ্যাস সঞ্চালন কোম্পানির ক্ষেত্রে

৩%

গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানির ক্ষেত্রে

৩%

সিমেন্ট, লোহা, লৌহজাত পণ্য (এমএস বিলেট ব্যতীত) উৎপাদনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান

২%

এমএস বিলেট উৎপাদনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান

০.৫%

স্থানীয়ভাবে এমএস স্ক্রাপ উৎপাদনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান

০.৫%

ধান, গম, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মটর ডাল, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্য তৈল, চিনি, কালো গোল মরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা ও সব ধরণের ফল সরবরাহ

২%

টিআইএন না থাকলে বা বিল বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোন চ্যানেলে গ্রহণ না করলে করের হার ৫০% বেশি হবে।

১৪. ৫২ডিডি সংশোধন: ওয়ার্কাস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড হতে উৎসে কর্তন
ওয়ার্কাস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড হতে প্রাপ্ত যেকোন অংকের উপর ৫% কর কর্তনের বিধান ছিল। পরিবর্তিত বিধানে ৳ ২৫,০০০ পর্যন্ত কর্তন বহির্ভূত রাখা হয়েছে। এছাড়াও যাদের করযোগ্য আয় নেই, তাদের প্রাপ্তিও কর্তন বহির্ভূত রাখা হয়েছে। ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-এ এর প্যারা-২১ এর ক্লজ (ডি) মোতাবেক প্রাপকের হাতে ৳ ৫০,০০০ পর্যন্ত করমুক্ত।

১৫. ৫২কিউ এর প্রোভাইসো পরিবর্তন:
৫২কিউ এর প্রোভাইসো পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদন, প্রসেস বা প্রক্রিয়াজাতকরণ, পূর্তকর্ম, নির্মাণ, প্রকৌশল কাজ বা এ জাতীয় কাজের মাধ্যমে বিদেশ হতে বিল প্রাপ্ত হলে উহার উপর ৭.৫% হারে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।

১৬. পণ্য আমদানির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ
আমদানিকৃত পণ্যের আমদানি মূল্যের বিপরীতে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহের বিধান পূর্বেও ছিল, তবে তাতে সর্বোচ্চ হার উল্লেখ ছিল না। পরিবর্তিত বিধানে আমদানি মূল্যের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০% হারে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা যাবে। আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি-১৭এ তে আমদানিকৃত পণ্যের বিপরীতে অগ্রিম করের হার উল্লেখ রয়েছে।

১৭. ৫৩বি প্রতিস্থাপন: জনশক্তি রফতানির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ
পূর্বে অভিবাসন অধ্যাদেশ, ১৯৮২ মোতাবেক জনশক্তি রফতানির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা হতো। পরিবর্তিত বিধান মোতাবেক, জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জনশক্তি রফতানির অনুমোদনের জন্য যখন মহাপরিচালক, জনশক্তি কর্মস্থান অধিদফতরে আবেদন করবেন, তখন আবেদনের সাথে প্রাপ্য সার্ভিস চার্জ বা ফি’র ১০% অগ্রিম আয়কর হিসেবে জমা দেয়ার চালান বা প্রমাণ দাখিল করবেন। আর লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন আবেদনের সাথে ৳ ৫০,০০০ অগ্রিম আয়কর পরিশোধের চালান দাখিল করবেন।

১৮. ৫৩সি: নিলামে বিক্রয় হতে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ
পূর্বে নিলামে ক্রেতার ক্রয় মূল্যের ৭.৫% অগ্রিম আয়কর আদায়ের বিধান ছিল। বর্তমানে এ হার ১০% করা হয়েছে। তবে নিলামে চা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এ হার ১%।

১৯. ৫৩ই: কোম্পানির সংজ্ঞায় ফার্ম কে অন্তর্ভূক্তকরণ
পূর্বে কোন কোম্পানি তার পরিবেশক, ডিলার বা এজেন্টকে কোন কমিশন, ফি প্রদান করলে উহার উপর কর কর্তনের বিধান ছিল। পরিবর্তিত বিধানে কোম্পানির সংজ্ঞায় ফার্ম কেও অন্তর্ভূক্ত করার কারণে ফার্ম যদি তার পরিবেশক, ডিলার বা এজেন্টকে কোন কমিশন, ফি প্রদান করে, তাহলে ৫৩ই ধারা মোতাবেক নির্ধারিত হারে কর কর্তন হবে।

২০. ৫৩এফ: নাবালকের নামে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা বা স্থায়ী আমানত রাখা
এ ধারায় সংযোজিত প্রোভাইসো মোতাবেক, নাবালকের নামে সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব খোলা বা স্থায়ী আমানত রাখার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার টিআইএন নাবালকের টিআইএন হিসেবে বিবেচিত হবে।

২১. ৬৮বি: গাড়ির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর পরিশোধের বিধান
গাড়ির রেজিস্ট্রেশনকালে বা ফিটনেস নবায়নকালে ৬৮বি ধারায় অগ্রিম আযকর পরিশোধ করতে হয়। কোন বছরে যদি অগ্রিম আয়কর পরিশোধ হয়ে না থাকে, তাহলে পরবর্তী বছর ফিটনেস নবায়নকালে একত্রে পূর্ববর্তী বছর বা বছরসমূহের অগ্রিম আয়করসহ বর্তমান বছরের অগ্রিম আয়কর একত্রে পরিশোধ করতে হবে।

২২. ৮০ ধারা প্রতিস্থাপন: সম্পদ, দায় ও জীবনযাত্রার বিবরণী দাখিল সংক্রান্ত
৮০ ধারা প্রতিস্থাপন করা হলেও পূর্বের বিধানসমূহ বহাল আছে। অতিরিক্ত যে বিষয়গুলো সংযোজন করা হয়েছে তাহলো –
– বাংলাদেশী অনিবাসীরা শুধুমাত্র বাংলাদেশে রক্ষিত সম্পদ প্রদর্শন করবেন। বিদেশে অবস্থিত সম্পদ প্রদর্শন হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
– বিদেশিরা শুধুমাত্র বাংলাদেশে রক্ষিত সম্পদ প্রদর্শন করবেন।

২৩. ৮২সি: টার্নওভার করের হার হ্রাস
ব্যক্তি পর্যায়ে টার্নওভার করের হার ০.৫০% হতে হ্রাস করে ০.২৫% করা হয়েছে।

২৪. ১১৭এ: উৎসে কর কর্তন মনিটরিং সংক্রান্ত
পূর্বে এ ধারায় বোর্ড বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ প্রয়োগ করতে পারত। পরিবর্তিত বিধানে এ ক্ষমতা কমিশনার/মহাপরিচালক (কর পরিদর্শন)/মহাপরিচালক (সিআইসি) কে দেয়া হয়েছে। বর্তমান বিধান অনুযায়ী কমিশনার/মহাপরিচালক (কর পরিদর্শন)/মহাপরিচালক (সিআইসি) বা তার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এ ধারায় কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে।

২৫. ১৫২ও: এডিআর কর্তৃক সিদ্ধান্ত দেয়ার সময়সীমা ২ মাস হতে বাড়িয়ে ৩ মাস করা হয়েছে।

২৬. ১৮৪এ: টিআইএন গ্রহণ সংক্রান্ত
এ ধারায় নতুন ক্লজ সংযোজনের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে, ডাকঘর হিসেবে ২ লক্ষ টাকার অধিক জমা রাখার ক্ষেত্রে ও সমবায় সমিতির সনদ নেয়ার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

২৭. তৃতীয় তফসিলে দালানের অবচয় হারের হ্রাস
নপূর্বে সাধারণ দালান ও কারখানা দালানের অবচয়ের হার ছিল যথাক্রমে ১০% ও ২০%। পরিবর্তিত বিধানে উহা হ্রাস করে যথাক্রমে ৫% ও ১০% করা হয়েছে।

২৮. ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-এ তে নতুন করমুক্ত খাত অন্তর্ভূক্তকরণ
৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-এ এর প্যার-৩৩ এ অন্তর্ভূক্তকরণের মাধ্যমে কয়েকটি খাতের আয়কর কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো – Cloud service; System Integration; e-learning platform; e-book publications; Mobile application development service; and IT Freelancing.

২৯. ৬ষ্ঠ তফসিলের পার্ট-এ এর প্যারা-৩৯ প্রতিস্থাপন
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর প্যারা-৩৯ এ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হতে আয়কে কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। পরিবর্তিত বিধানে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হতে আয়ের উপর কর অব্যাহতি বহাল রয়েছে। তবে এসএমই এর মালিক মহিলা হতে টার্নওভারের পরিমাণ ৭০ লক্ষ করা হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে, তাদেরকে আয়কর অধ্যাদেশের অন্যান্য বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে।

No Comments yet!

Your Email address will not be published.



Fatal error: Uncaught wfWAFStorageFileException: Unable to verify temporary file contents for atomic writing. in /home/taxedu/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php:51 Stack trace: #0 /home/taxedu/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php(658): wfWAFStorageFile::atomicFilePutContents() #1 [internal function]: wfWAFStorageFile->saveConfig() #2 {main} thrown in /home/taxedu/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php on line 51